Modi proves he lost by winning:Prasantada

মা কালী কৈবল্যদায়িনী ব্রহ্মময়ী তারা তোমার নাকের ছামুতে রবীন্দ্রনাথের নামগুলো এক এক করে চুরি করছে , প্রাসাদের নাম দিয়েছে শান্তিনিকেতন !

বিধি যখন বাম ,

স্মরণ করো রাম

পালাবে ভূত ভাগবে শাঁকচুন্নি

হবে কমরেড ব্যাপক পুন্নি

মোদীজি জিতিয়া প্রমান করিলেন তিনি জেতেন নাই

শেষ অবধি আমাকেই ফোন করতে হলো , প্রশান্তদা বেশ কয়েকদিন চুপ চাপ !

এদিকে ফুলে ছাপ হয়ে গেছে , বেশ বোঝা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী !

প্রশান্তদা ইতিমধ্যে একটি বই লিখে ফেলেছেন ," ইন্ডিয়া আফটার মোদী " ! এবার তো ২৩ মেরেছে , নির্বাচনে অর্বাচীনদের জয় জয়কার , বিদ্যা সাগরের মূর্তি ভেঙেও ব্যাটাদের ঠেকানো গেলো না ! হনুব্রত বলেছিলেন কে এই কবি শঙ্খ , অনেক অঙ্ক করেও হদিস পাচ্ছি না , কোথায় থাকেন কি নাম , কি যেন লিখেছেন, কোথায় যেন পরিছি ! এবার তেনার ভাইপোবৃন্দ হকচকিয়ে গেলেন -এতবড়ো আস্পর্ধা বিদ্যা বালানের "পিসেমোসায়ের" মূর্তি ভাঙলো কে,আর ভাঙলেই বা কেন ? সুগ্রীব মন্ডল বললে ," ওসব বোগাস বটে গো, জলচালাকি করছে বাবু, উনি হলেন গিয়া রামানন্দ সাগরের ঠাকুরদা, বাঙালির নাম তো সাগর হয় না, যিনি রামায়ণের হিন্দি সিরিয়াল করেছিলেন , লাহোর থেকে শরণার্থী হয়ে ভারতে আসেন দেশ ভাগের সময় ! ঘাসফুল নেতা ধড়িবাজ সিংহ বললেন, " না হে তোমরা আকাট মুখ্যু , লোকটার আসল নাম সিলো গিয়া ইশে সন্দ্র মৌলি সুপ্রা , উনি হলেন গিয়া প্রিয়াঙ্কা সুপ্রার ঠাকুরদা ! উনি নোয়াখালীর এক মেয়েকে বিয়া করসিল !' এইভাবে ঈশ্বরচন্দ্রর সপিন্ডকরণ চলছিল !

প্রশান্তদা বললেন ," কুচ পরোয়া নেই , প্ল্যান বি রেডি , বইটার নাম একটু বদলে দেব -"ইন্ডিয়া আফটার রিএলেক্শন অফ মোদী " একটা নতুন পরিচ্ছদ লিখছি : ভারতের ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, মোদী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ধাপ্পা দিয়ে জিতেছে ! সে রাজ সিংহাসনে , কিন্তু মানুষের হৃদয়াসনে বসতে পারেনি , পারবেও না !"

আমি বললাম ,"তবে কি জনগণের হৃদয়াসন শূন্য , নাকি সেখানে রাহুল কিংবা মমতা ?"

প্রশান্তদা বললেন ," হৃদয়াসনের জন্যও প্রতিযোগিতা শুরু হয় নি।"

আমি বললাম ," না প্রশান্তদা, রবীন্দ্রনাথ এর জবাব দিয়ে গেছেন !

তিনি বলেছেন:

কে বসিলে আজি হৃদয়াসনে ভুবনেশ্বর প্রভু,–

জাগাইলে অনুপম সুন্দর শোভা হে হৃদয়েশ্বর॥

সহসা ফুটিল ফুলমঞ্জরী শুকানো তরুতে,

পাষাণে বহে সুধাধারা॥

এটাতো বাবা পঞ্চম জর্জ কে নিয়ে লেখা নয় , ঈশ্বরচন্দ্র কে নিয়েও নয় , এ একেবারে হৃদয়েশ্বর এবং ভুবনেশ্বরকে নিয়ে , মোদী কি করে হৃদয়াসনে বসবে যে কুরসী স্বয়ং ভগবান দখল করে আছেন? "

প্রশান্তদা ঝোড়ো সাগরের মতো অশান্ত হয়ে গেলেন: " ভোটের

লড়াইয়ে জেতা আর মতাদর্শের লড়াইয়ে জেতা এক নয় , তোরা এটা বুঝবি না !আমার নতুন পরিচ্ছদে লিখছি ভারতবর্ষ একটি পঙ্কিল পূতিগন্ধময় সুড়ঙ্গে প্রবেশ করতে চলেছে , যেখানে আলো নেই, বাতাস নেই , সংখ্যালঘুরা লাঞ্ছিত, নিষ্পেষিত , নিপীড়িত , মথিত, শোষিত ইয়ে মানে ভেরি ভেরি ব্যাড ! এই পাঁচ বছর ভারতের নরক দর্শন হবে ! সেকেন্ড বইটা বেরোবে ২০২৪ -এ ইন্ডিয়া আফটার মোদী , ততদিনে মোদী পগারপার !"

"প্রশান্তদা সবাই বলছে আধুনিক যুগের কুঁজি মন্থরা হলো- the slow and crooked মিডিয়া কা আদমি !'

"আমি জানি না বাংলার এই অধঃপতন হলো কি করে ? বাম হয়ে গেলো রাম , এই ছিল রুমাল দেখতে দেখতে হয়ে গেলো একটা প্যাঁক্পেঁকে হাঁস , ইহা কি জাদুকর ম্যানড্রেকের ইন্দ্রজাল ? একি স্বপ্ন , না মায়া , না মরীচিকা ?"

"খুব সহজ , উর্দু পড়েন নাই, নুক্তা কি হের্ ফের সে খুদা জুদা হো জাতা হায় আর বিন্দু কে হের্ ফের সে বাম হো জাতা হায় রাম ! তোমার নাম আমার নাম জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম ! সবাই বলছে আর গুড় বাতাসা পাঁচন লাগছেনা ভালো , ঢাকের চড়াম চড়াম শব্দ সহ্য হচ্ছে না , উন্নয়নকে আর লাঠি হাতে দাঁড়াতে দেবোনা , হিংসা, তোলাবাজি, সিন্ডিকেট বন্ধ করো ।"

" আমি আসছি বই লঞ্চ করতে ! ১৫ অগাস্ট !"

"এস , তবে এ বই আর কেউ কিনবে না, তুমি মাছি তাড়াবে , চৌকিদার চোর হায় , বাজারে খাচ্ছে না , সবাই বলছে উনিশে হাফ , একুশে সাফ , তুমি একটু অপেক্ষা করো , এই সময় বড়ো দুঃসময় , মাইকেল পড়ার সময় , রামের উৎসব চলছে কিনা :

"এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে, রঘুরাজ ? কিন্তু দাসী নীচকুলোদ্ভব, সত্য মিথ্যা জ্ঞান তার কভু না সম্ভবে! কহ তুমি ;–কেন আজি পুরবাসী যত আনন্দ-সলিলে মগ্ন ? ছড়াইছে কেহ ফুলরাশি রাজপথে ; কেহ বা গাঁথিছে মুকুল কুসুম ফল পল্লবের মালা সাজাইতে গৃহদ্বার—মহোৎসবে যেন ? কেন বা উড়িছে ধ্বজ প্রতি গৃহচূড়ে ? কেন পদাতিক, হয়, গজ, রথ, রথী বাহিরিছে রণবেশে ? কেন বা বাজিছে রণবাদ্য ? কেন আজি পুরনারী-ব্ৰজ মুহুর্মুহুঃ হুলাহলি দিতেছে চৌদিকে ! কেন বা নাচিছে নট, গাইছে গায়কী ?

কেন এত বীণা-ধ্বনি ? কহ, দেব, শুনি, কৃপা করি কহ মোরে,—কোন ব্রতে ব্ৰতী আজি রঘু-কুল-শ্রেষ্ঠ ! কহ, হে নৃমণি?"